শ্রমিকদের পাশে থেকে দীর্ঘদিন কাজ ও শ্রমিকদের চিকিৎসা, পেনশন, মৃত্যু ফান্ড ও বিভিন্ন অনুদান যথা সময়ে পরিশোধ করতে পেরে নিজেকে গর্ববোধ মনে করছি।
১৯৯২ সাল থেকে শ্রমিদের পাশে থেকে সঠিক নের্তৃত্ব দিয়ে আসার কারনে শ্রমিকরা আমাকে বারবার নির্বাচিত করেন। গতকাল বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশন (হালকাযান) রেজি: বি-২১৮১ এর সাংগঠনিক সম্পাদক, কুমিল্লা জেলা সিএনজি অটোরিক্স, মিশুক, বেবিটেক্সি, টেক্সিকার শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি: ১৫৬৯) এর সাধারণ সম্পাদক ও কুমিল্লা স্টার লিংক (হিউম্যান হলার-লেগুনা-মাইক্রো) মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আলম বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংগঠনের নামে চাঁদাবাজির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, আমি দির্ঘদিন শ্রমিকদের পাশে থেকে সততার সাথে কাজ করে আসছি। এছাড়া আমি বা আমার সংগঠন চাঁদাবাজির সাথে সম্পৃক্ত কি না সরেজমিনে এসে সাংবাদিকরা প্রমান নিয়ে গেছেন। বাস্তবে আমার সংগঠনের নামে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলেও তারা সঠিক তথ্য জেনে পুন:রায় পরের দিন ওই সব পত্রিকায় প্রতিবাদ প্রকাশ করেন। আমি বৈধতার ভিত্তিতে ও আইননুযায়ী সংগঠন পরিচালণা করছি। আমি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শ্রম-মন্ত্রনালয়ের অধিনস্থ শ্রম দপ্তরের আইননুযায়ী শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ ও শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা তাদেরকে বুঝিয়ে দিয়ে আসছি।
শ্রম-অধিদপ্তরের লাইসেন্সকৃত রেজিষ্ট্রেশন অনুযায়ী আমার পরিচালিত ৩ চাকার বিশিষ্ট সিএনজি অটোরিক্স, বেবিটেক্সি ও ৪ চাকা বিশিষ্ট টেক্সিকার, হিউম্যান হলার, লেগুনা ও মাইক্রোবাস পরিচালিত হচ্ছে। শ্রমিক আইননুযায়ী শ্রমিককে প্রথম শ্রমিক কার্ড (আইডি) করতে হবে, তারপর তার সব অধিকার সংগঠন বহন করবে। আমরা শুধু আমাদের কার্ডধারী শ্রমিকদের থেকে মাসিক চাঁদা আদায় করে থাকি। আর সেই আদায়কৃত টাকা তাদের পেনশন, চিকিৎসা, মৃত্যু ফান্ডসহ বিভিন্ন বিপদ-আপদে ব্যয় করে থাকি। এছাড়া কোন ব্যক্তি আমাদের সংগঠনের কার্ড ধারী না, বা সংগঠনের নাম বিক্রি করে চাঁদা আদায় করে থাকে। তার চাঁদাবাজি ও অপকর্ম করে থাকলে আমাদের সাথে যোগযোগ করার জন্য অনুরোধ রহিল।
এছাড়া আমাদের সংগঠনের সাথে অর্ন্তভূক্ত না হয়ে হিউম্যান হলার বা মাইক্রো পরিচালনা করলে, তার দায়-দায়িত্ব আমরা নিতে পারবো না। যারা আমাদের সংগঠনের অর্ন্তভূক্ত হয়ে পরিবহন পরিচালনা করিবেন, শুধু তারাই আমাদের সার্বিক সুযোগ-সুবিধা গ্রহন করতে পারবেন।