সোনাইমুড়ি থানার নাওতলা মালিবাড়ি নিবাসী নিত্যানন্দ দাশের ছেলে সমর দাশের কাছে গত ৮ মাস পূর্বে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার নাথেরপেটুয়া ইউনিয়নের নাথেরপেটুয়া গ্রামের ফার্নিচার মিস্ত্রি মিঠু সাহার একমাত্র কন্যা তৃষ্ণা রানীর পারিবারিক ভাবে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
কিন্তু সেই সংসারে অল্প কিছু দিনের মধ্যেই নেমে আসে যৌতুকের কালো থাবা।বেশ কয়েকবার যৌতুকের জন্য নিহত তৃষ্ণা রানী কে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনরা মিলে অমানবিক ভাবে নির্যাতন করে আসছে।তার ই ধারাবাহিকতায় গত ২১-০১-২০২১ তারিখে ৩ মাসের অন্তঃসত্বা তৃষ্ণা রানিকে পেটে লাথি মেরে মার ধর করার সময় নিহত তৃষ্ণা রানীর পেটের সন্তান নষ্ট হয়ে যায়।
তারপরও দরিদ্র ফার্নিচার মিস্ত্রি বাবার যতটুকু সাধ্য ছিলো সেই সাধ্য মতো মেয়ে জামাই এর আবদার মিটিয়ে আসছিলো।
বিয়ের সময় ও বিয়ের আগে পরে জামাইয়ের আবদার মিটাতে দরিদ্র বাবাকে হাত পাততে হয়েছিলো সমাজের বিত্তবানদের কাছে।
কিন্তু শেষ আবদার হিসেবে মেয়ের জামাই আবারো ২ লক্ষ টাকা দাবী করলে তা দিতে অপারগতা জানায় নিহত তৃষ্ণা রানীর বাবা মিঠু সাহা।
আর সেই রাগে জেদে স্বামী ও তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন মিলে গত ২১-০২-২০২১ তারিখ বিকেলে পাশবিক, বর্বর ভাবে নির্যাতন করে পায়ের রগ কেটে হত্যা করে তৃষ্ণা রানীকে।
এই ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে ২২-০২-২০২১ তারিখে নিহতের স্বামী সমর দাশ,সহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামী করে সোনাইমুড়ি থানায় মামলা করেছেন।মামলা নং ২৪ এ উল্লেখিত ধারা ৩০২/৩৪।
মামলায় উল্লেখিত উভিযুক্তরা হলেন
১.সমর দাশ (২৫), পিতা-নিত্যানন্দ দাশ
২.বিশ্বজিত দাশ (৩০),পিতা-নিত্যানন্দ দাশ
৩.নিত্যানন্দ দাশ (৬৫),পিতা-আদ্যনাথ দাশ
৪.গায়েত্রী রানি দাশ (৫৮),স্বামী-নিত্যানন্দ দাশ
৫.পূজা দাশ(২০),স্বামী-বিশ্বজিত দাশ
৬.লক্ষী রানী দাশ (৩৫),স্বামী-সুভাষ চন্দ দাশ
পুলিশ তৎক্ষনাত অভিযান চালিয়ে স্বামী সহ ৫ জনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেন।
হতদরিদ্র পিতা মিঠু ও তার পরিবার উক্ত ঘটনায় জড়িত সকল আসামীর সর্বোচ্চ দাবী জানান।